This is the timeline of official Facebook page of Kanak Chapa
অস্ট্রেলিয়ার যাওয়ার অব্যবহিত পরে থেকেই ভক্তদের অনুরোধ পাচ্ছিলাম আমি যেন প্রিয়তমা শাবনুরের সাথে দেখা করি।কয়েকজন লিখলো দেখা না করে দেশে ফিরলে এয়ারপোর্টে আটকে দেবে।হাহাহা। মধুর জ্বালাতন! কিন্তু কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছিলাম না।কিন্তু ভাবছিলাম কি করা যায়!
যেদিন আমাদের অনুষ্ঠান,সেদিন ব্যাকস্টেইজে শাবনুরের বোন ঝুমুর এবং তাদের মা এলেন।ওরা আমাকে একদিন দাওয়াত দিতে চায়।কিন্তু আমার হাতে আছে আর মাত্র একটা দিন।আমি ঝুমুর কে বললাম আমরা আগামীকাল ইনশাআল্লাহ একটু বের হবো বেড়াতে।তোমরা আমাদের সাথে চলো।সারাদিন বেড়ানোও হবে দেখাও হবে।
যেমন কথা তেমন কাজ।পরদিন ভোর বেলাই দেবর মামুন জানালো শাবনুর আসছে আমার সাথে দেখা করতে মামুনের বাসায়।আমরা অপেক্ষা করছিলাম তার জন্য। ঠিক সময় মত সে এসে পড়লো,ফুল ও চকলেট নিয়ে । আমি সদর দরোজা থেকে বেরিয়ে ওর গাড়ির দিকে এগিয়ে যাবো, তার আগেই পাখীর মতো ডানা মেলে দৌড়ে এসে বুকে ঝাপিয়ে পড়লো।শক্ত করে ঠেসে ধরে বুকে জড়িয়ে রাখলো।আমি ওর হার্টবিট পাচ্ছিলাম আর পাচ্ছিলাম মিষ্টি একটা সুবাস।ও আমাকে ছেড়ে কদমবুসি করার জন্য ঝুঁকতেই আমি আটকিয়ে আবার বুকে নিলাম!
আমাদের পুরো পরিবার তাকিয়ে দেখছে এই ভালোবাসা বিনিময়ের অনিন্দ্য সুন্দর দৃশ্য! ভেতরে নিয়ে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন আমার সাহেব। আর শাবনুর! সেই চঞ্চলা কিশোরী! রঙ্গিন প্রজাপতি! তার হাসিতে কাঁচের গ্লাস ভাঙ্গার উপক্রম!
আমরা খুব বিস্মিত হয়ে আবিষ্কার করলাম আমাদের কাপড় এর ম্যাচিং! সত্যিই অবাক হওয়ার মতো একটা ব্যাপার। আর সে কি ঝড় নাকি বিদ্যুৎ বুঝতে পারছিলাম না।হাহাহা।
ভাবতে অবাক লাগছিল এই আজন্ম কিশোরী ৩০ বছরেরও অধিক সময় ধরে পুরো বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনকে একা এক হাতে বহন করেছে অবলীলায়, হেসে খেলে, দারুণ অভিনয় দিয়ে আর পদ্মপুকুরের মতো টলটলে নয়ন জুড়ানো রুপশ্রী দিয়ে, বাস্তবানুগ উপস্থিতি দিয়ে! এই শাবনুর, এই চপলা সহজিয়া মানুষটি।আমরা সবাই বিস্মিত। তার চোখে বেশীক্ষণ তাকিয়ে থাকা দায়! অন্তর্ভেদী তার দৃষ্টি!
পুরোটা সময় সে টর্নেডোর মতো কথা কয়েই যাচ্ছে।একবার জড়িয়ে ধরে একবার সেলফি তোলে একবার চুমু দেয়! সে এক অদ্ভুত ভালোলাগা প্রহর! একটা কেক সামনে। তার খেতে ইচ্ছে থাকা সত্বেও দমন করে শুধু কেকের উপরে থাকা ফল খেলো,আমাকে খাওয়ালো।আমাদের সবার সাথে নানান স্থানে দাড়িয়ে ছবি তুললো। আমরা একটু দুষ্টুমির ছলে বাঘসাহেব কে মাঝখানে রেখে মজা করে গাইলাম।
ততক্ষণে দুপুর গড়াচ্ছে।বললো আপু,তোমরা যেখানে যাবে ওখান থেকে আমার শিডিউল মতো ফিরতে গেলে দেরি হয়ে যাবে।আমি আর না যাই।তোমরা বরং আরাম করে ঘোরো।বললাম ঠিকাছে।এবার বিদায়ের পালা।আবার জড়িয়ে ধরে আবার চুমু দেয়।আবার চোখে তাকায়! আর আমি ভাবি এই শাবনুর একদম আমাদের। আমাদের এ যুগের মহানায়িকা।আর তার গান আমি গেয়েছি, অনেক, অনেক, ভাবতেই আবেগাপ্লুত হই।
আমি বলি ঠিকাছে তুমি যাও,ও বলে নায়ায়ায়া আপু,আপনি আগে রওনা দেন,আমি তারপর যাবো। আপনার আগে আমি যাবো না!পাগলী একটা।
গাড়িতে উঠলাম। মন পড়ে রইলো শাবনুরে! মনে মনে গাইছিলাম
” আমাকে ছেড়ে তুমি যেওনা
না না না যাবো না”
সত্যিই সে এখনো হাজার ফুলের মাঝে একটি গোলাপ! আল্লাহ তোমাকে অনেক আনন্দে রাখুন নুপুর! নিশ্চয়ই আমাদের আবারও দেখা হবে।